বাংলাদেশে আইসিটি ডিভিশনের এক জরিপ থেকে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছেন। স্বাধীনভাবে কাজ করে স্বাবলম্বী হতে ট্রেন্ডি পেশা হিসেবে সবাই ফ্রিল্যান্সিং-কে বেছে নিচ্ছে। এভাবেই বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করছেন। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারের গড় মাসিক আয় প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি। ফ্রিল্যান্সিং-এ ক্যারিয়ার গড়তে চাচ্ছেন? ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে নলেজ আইটি ইনস্টিটিউট ৩০টিরও বেশি সেক্টরে মানুষকে দক্ষ করে তুলছে।
গৃহিণীরা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে কারণ এটি তাদের জীবনযাপনে সমৃদ্ধি এনে দেয়। তারা নিজের সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে পারে। ঘরে থেকে কাজ করা তাদের সাময়িক অসুবিধার সমাধান করে এবং উন্নত তথ্য ও দক্ষতা অর্জন করে। মেধা, সুযোগ, এবং স্বয়ং নিয়োজিত সময় দিয়ে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে, উদাহরণস্বরূপ লেখন, উপকরণ তৈরি, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি। এটি তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা এবং আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করে এবং অনেক সময় পরিবারের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফ্রিল্যান্সিং একটি সম্ভাব্য অবসর পেয়ে এবং আত্মসন্তুষ্টিও বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং করা চাকরিপ্রাপ্তির জন্য বিশেষ কারণের অনুপ্রেরণা দেয়। এটি অনেক মূল্যবান হতে পারে কারণ এটি নিজের সময় ও স্বায়ত্ততা ব্যবহার করতে সাহায্য করে। ফ্রিল্যান্সিং করা অনেকগুলি নিয়ে হতে পারে কারণ সে স্বয়ংক্রিয়তা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং নিজস্ব সময় ব্যবহারে সাহায্য করে। এটি নিজস্ব স্কিল এবং স্বাধীন কর্মসূচী তৈরি করে এবং আরও বেশি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে। অনেক ব্যক্তি এটি পছন্দ করেন কারণ এটি জীবনধারা সাজানোর সুযোগ দেয় এবং ব্যক্তিগত লাভ এবং কর্মের সামঞ্জস্য প্রদান করে। চাকরিপ্রাপ্তির পথে ফ্রিল্যান্সিং করা মানে নতুন সময়ের মুখোমুখি সাময়িক প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রেরণা দেয়।
উদ্যোক্তারা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে কারণ এটি তাদের ক্ষমতা এবং স্বাধীনতার সুযোগ দেয়। ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে নিজেদের সময় ও কাজের নির্দিষ্ট সুযোগ নিতে পারেন এবং নিজের ইচ্ছামত প্রকল্পে কাজ করতে পারেন। তারা বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং মাধ্যমে বেশি আয় অর্জন করা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পে যোগ দিতে পারেন। এটি কর্মীদের দিকে থেকে নতুন যোগাযোগ এবং সুযোগ সৃষ্টি করে যা তাদের অভিজ্ঞতা ও নেটওয়ার্ক বাড়াতে সাহায্য করে। ফ্রিল্যান্সিং উদ্যোক্তাদের স্বল্পমুল্যে শুরু করতে সাহায্য করে এবং স্বাধীন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা করার সুযোগ দেয়। এটি নতুন আবেদনকারীদের জন্য প্রোফেশনাল অভিজ্ঞতা অর্জনে সাহায্য করে এবং ব্যক্তিগত উন্নতি ও সাক্ষরতা বাড়াতে সাহায্য করে।
শিক্ষার্থীদের ফ্রিল্যান্সিং করা অনেক সুযোগ ও সুবিধা উপভোগ করার কারণে হতে পারে। প্রথমত, ফ্রিল্যান্সিং শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ দেয়, যা তাদের পেশাগত উন্নয়নে সাহায্য করে। তারপরে, ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে স্বয়ং নিয়ে কাজ করা শিক্ষার্থীদের সময় ব্যবহারে স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশীলতা অনুভব করতে সাহায্য করে। আরও অনেক ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয় করে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষার খরচ উপচিতি করতে পারে। এটি কর্মজীবনে অভিজ্ঞতা অর্জনে সাহায্য করে এবং সম্পর্কিত শিক্ষা বা পেশার জন্য সাক্ষাৎকার এবং নেটওয়ার্কিং সুযোগ প্রদান করে। এছাড়াও, এটি প্রবীণদের মধ্যে স্বাভাবিক শিক্ষার বাইরে কাজ অভিজ্ঞতা জড়িত করে যা শিক্ষার গুনগত দিক পরিষ্কার করে।
প্রবাসীরা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে কারণ এটি তাদের জন্য অনেক সুযোগ সৃষ্টি করে। প্রথমত, বিদেশে থাকা মানুষের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে স্বাধীনতা এবং স্বায়ত্ততা বাড়ায়। স্থায়ী চাকরির পরিবর্তে ফ্রিল্যান্সিং তাদের সময় এবং স্থানের মধ্যে সার্বিক সামঞ্জস্য প্রদান করে। দ্বিতীয়ত, প্রবাসী যারা বাংলাদেশ ছেড়ে বিভিন্ন দেশে আছে, তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বাংলাদেশের বাইরে চাকরি পেতে সাহায্য করে। তারা নিজেরা সময়ে পরিবর্তনশীল হতে পারে এবং স্বল্প পরিস্থিতির জন্য উপযুক্ত কাজ পায়। আরও বেশি বেতন, কাজের নির্দিষ্ট সময় এবং স্বায়ত্ততার সুবিধা প্রবাসীদের উপকারে হতে পারে।.
ফ্রিল্যান্সিং করা সম্পূর্ণভাবে মুক্তিযোগ্য এবং যেকোনো ব্যক্তি এটি করতে পারে। এটি আপনার নিজের ক্ষমতা, আয়োজন, প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি, লেখাপড়া, ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং ইত্যাদি জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে। বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে রেজিস্ট্রেশন করে কাজ পাওয়া যায় এবং ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে প্রকৃত অফার পেতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং পার্ট-টাইম বা পূর্ণসময়ের কাজ হতে পারে এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং সামাজিক সম্পর্কের সমমান সুযোগ প্রদান করে। প্রযুক্তিগত সাধারণত প্রয়োজন হয়, কিন্তু যে কোনো ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তিগত দক্ষতা এবং উৎসাহের সাথে কেউ ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।.